মাওলানা আশরাফ আলি থানভি রহ.-কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তাকে বুঝতে হলে অবশ্যই একটি তথ্য মাথায় রাখতে হবে—তা হলো, মুসলিম উম্মাহর চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে বিরল প্রতিভার অধিকারী যে সকল মহা মনীষী গত হয়েছেন, তিনি তাদের একজন।
তাফসির, ফিকহ, আকিদা, ইলমুল কালাম, ইলমুস সুলুকসহ ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় ছিল তার গভীর পাণ্ডিত্য। ফলে তার আলোচনা কখনোই একপেশে হয়ে যেত না। তাতে থাকত অভূতপূর্ব এক মধ্যমপন্থা ও ভারসাম্য; যা মূলত ইসলামেরই প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব।
কেবল রচনাবলিই নয়; বরং তার চিন্তাচেতনা, আচার-ব্যবহার ও আমল-আখলাকেও ছিল ইতিদাল বা ভারসাম্যের বিরল বহিঃপ্রকাশ। যার মাধ্যমে তিনি তৎকালীন সমাজের প্রতিটি শ্রেণিকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন।
মূলত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতিসহ জীবনের প্রভৃতি অঙ্গনে যদি কেউ একটি সফল ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করতে চায়, তাহলে তার জন্য থানভি রহ.-এর দ্বারস্থ হওয়ার বিকল্প নেই। ইত্তিহাদ পাবলিকেশনের এ সিরিজটি আধুনিক যুগের প্র্যাক্টিসিং মুসলিমদের থানভির পরশে আলোকিত করবে ইনশাআল্লাহ।